যেটা জানলে কারোর জীবন বাঁচাতে পারে
আমাদের হার্ট একটি বিস্ময়কর অঙ্গ এটি আমাদের জন্য প্রতি সেকেন্ডে কঠোর পরিশ্রম করে মূলত এটি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে কিন্তু হঠাৎ করে হার্ট এটাক হলে হৃদ্পিণ্ড অপ্রত্যাশিতভাবে স্পন্দন বন্ধ করে দেয় তাই রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই আমাদের শরীরের মস্তিষ্ক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ মারা যেতে থাকে এই মুহূর্তে সিপিআর শুরু করায় একজন ব্যক্তির বেঁচে থাকার একমাত্র সুযোগ হার্টঅ্যাটাকের 4 মিনিটের মধ্যেই ব্রেইন ড্যামেজ হওয়া শুরু করে এবং 10 মিনিটের মধ্যে ব্রেইন ড্যামেজ এমন পর্যায়ে চলে যায় যার কখনো ঠিক করা সম্ভব হয় না এমন মুহূর্তে একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা সত্যিই আপনার হাতে। সিপিআর দেয়ার ফলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঘটে হাতের প্রেসারে
নাম্বার ওয়ান
ব্রেইনে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত কে মস্তিষ্কে নিয়ে গিয়ে মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে তোলে
নাম্বার টু
আর হাঁড় নিজেও ব্ল্যাড পায় অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাঁড তার নরমাল কাজ করা শুরু করতে পারে।
C.p.r কিভাবে করবেন
প্রথমে ব্যক্তির এক পাশে এসে বুক বরাবর বসে এক হাতের তালুতে বুকের মাঝ বরাবর একটু বাম দিকে স্থাপন করতে হবে। তার উপর অপর হাতে স্থাপন করে উপরের হাতের আঙুল দিয়ে নিচের হাতে আকড়ে ধরতে হবে।
হাতের কনুই ভাঁজ না করে সোজা ভাবে বুকের উপর চাপ দিতে হবে যখন আপনি সিপিআর করবেন তখন বুকের উপর চাপ দেয়ার ফলে এটি কৃত্রিম পাম্প হিসেবে কাজ করবে এটি করার ফলেই ব্রেইন এবং হাটে ব্লাড সাপ্লাই দিতে সাহায্য করবে হ্যাঁ এটা করতে একটু সময় লাগে তবে মনে রাখতে হবে হাটে জোরে এবং দ্রুত চাপ দিতে হবে ব্রেইনে ব্ল্যাক পাঠানোর জন্য এমন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন বুকের পাঁজর 2 ইঞ্চি পর্যন্ত নিচে নামে যাতে হার্ডিঞ্জ ইস্কুজ হয়ে ব্লাড সাপ্লাই করে দিতে পারে।
প্রত্যেক মিনিটে 100 থেকে 120 টি প্রেসার দিতে হবে ব্ল্যাক পাম্প করানোর জন্য। এই মুহূর্তে যদি আপনি হাত সরিয়ে নিন অর্থাৎ পাম করা বন্ধ করে দিন তাহলে ব্লাড ব্রেইন এ যাওয়া বন্ধ করে দেবে আর যখন আপনি বেশি দ্বীপে প্রেসার তখন ব্লাড ব্রেইন পর্যন্ত যেতে পারবে না আর একই জিনিস ঘটবে যখন আপনি দ্রুত পেশার না দিবেন।
তাই মাথায় রাখতে হবে যে সিপিআর এর মূল উদ্দেশ্য হলো অক্সিজেনযুক্ত ব্লাড ব্রেইনে পৌঁছানো আর ব্রেন কে জীবিত রাখা তাই আপনাকে অবশ্যই বুকের মাঝখানে দ্রুত এবং জোরে প্রেসার দিতে হবে যদি ভেঙে যায় তাও ঠিক আছে কিন্তু ব্রেইনকে জীবিত রাখাটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই মনে রাখবেন আপনি মানুষটা কে বাঁচানোর একমাত্র আশা।
তাই যতটা সম্ভব আপনার পক্ষে চেষ্টা করে যান যতক্ষণ না মেডিকেল থেকে কোনো সহায়তা আসে ঠিক এই সহজ কাজটিকেও করলে হয়তো প্রাণী বেঁচে যেতে পারে কেউ অবশ্যই আপনি পারবেন blog টি দ্রুত শেয়ার করে সবাইকে জানতে সাহায্য করুন কারণ এই blog টির মাধ্যমে আপনার কাছের কারো জীবন বাঁচতে পারে। Blog টি শেয়ার করেছেন কিনা অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানিয়ে দিন আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
1 Comments
Thanks for information
ReplyDelete